বাউফলে শ্রম দিবস নিয়ে আলোচনা সভা ও প্রদর্শনীয়

বাউফলে শ্রম দিবস নিয়ে আলোচনা সভা ও  প্রদর্শনীয়


দূর্জয় দাস, বাউফল :  পটুয়াখালীর বাউফলে কমিউনিটি পর্যায়ে প্রায়োরিটি গ্রæপ এর সাথে এওয়ারনেস ও  শ্রম দিবস-২০২৩ উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা ও প্রদর্শনীয় অনুষ্ঠিত হয়। ২১ মে (রবিবার) সকাল ১১ ঘটিকায় নাজিরপুর ইউনিয়ন পরিষদ মিলনায়তেন অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন ইউপি প্যানেল চেয়ারম্যান মো: সহিদুল ইসলাম। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন বিভাগ উদ্ভিদ সংরক্ষন কর্মকর্তা মো: আনছার উদ্দিন মোল্লা। বিশেষ অতিথি ছিলেন ইউপি সচিব মো: আবু বকর ছিদ্দিক। প্যানেল আলোচক ছিলেন শিক্ষক প্রতিনিধি নাসিমা বেগম, নারী নেত্রী সাহিদা বেগম এবং সাংবাদিক জাহিদুল ইসলাম। স্বাগত বক্তব্য রাখেন এএলআরডি স্টান্ড ফর হার ল্যান্ড এনিমেটর সালমা বেগম। স্পিড ট্রাস্ট এনিমেটর সাইফুল ইসলাম উপস্থাপনায় সভায় ধারনাপত্র পাঠ করেন্ সাহিদা সুলতানা আখি। ধারনাপত্রে আখি বলেন, মে দিবস। বিশ্বব্যাপী শ্রমজীবী মানুষের আন্দোলন-সংগ্রামের স্বীকৃতির দিন। শ্রমিকদের দাবির প্রতি সম্মান জানিয়ে প্রতিবছর ১ মে সারা বিশ্বে দিবসটি পালন করা হয়। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও গুরুত্বের সঙ্গে দিবসটি পালন করা হচ্ছে।  তার ধারাবাহিকতায়, এএলআরডি সহযোগিতায় স্টান্ড ফর হার ল্যান্ড ক্যাম্পেইন কর্মসূচী স্পিড ট্রাস্ট আয়োজনে আলোচনা সভা ও প্রদর্শনীয় আয়োজন করা হয়েছে। এ কর্মসূচীর একটি ইস্যু হচ্ছে, কৃষক নারী শ্রমিকের মজুরী বৃদ্ধি। মজুরী অর্থ পরিশ্রমিক।  ন্যূনতম মজুরী আইন বলতে বোঝায়, কৃষি শ্রমিকদের জন্য অর্থাৎ কৃষিজ শষ্য উৎপাদনে নিয়োজিত যে কোন ব্যক্তির মজুরীর নিম্মতম হার স্থির করনের জন্য বিধান প্রনয়নকল্পে অধ্যাদেশ।  ১৯৮৪ সালে এ সর্ম্পকে একটি অধ্যাদেশ জারি করা হয়। ন্যূনতম মজুরী আইন যাদের জন্য প্রযোজ্য ন্যুনতম মজুরী অধ্যাদেশ শুধুমাত্র কৃষি শ্রমিকদের জন্য প্রযোজ্য অর্থাৎ কৃষিজ শস্য উৎপাদনে নিয়োজিত যে কোন ব্যক্তির জন্য প্রযোজ্য। ১৯৮৪ সনের ভূমি সংস্কার অধ্যাদেশে সংজ্ঞার্থকৃত বর্গাদার” ন্যূনতম মজুরী অধ্যাদেশের আওতায় পড়ে না। আখি ধারনা পত্রে আরো বলেন, বাস্তবতা হচ্ছে, বাউফল উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের ধান্দী ও নিমদী এলাকায় নারী কৃষকের বাস্তবতা হচ্ছে, মৌসুমী ভিত্তিক কৃষি শ্রমিক হচ্ছে যেমন ডাল তোলা মরিচ তোলা, তরমুজ খেত তৈরি, মাছ টোকানো। কৃষি উৎপাদন ফসল ভাগ বাটোয়ার হচ্ছে তার। লিখিত কোনো আইন নেই। স্থানীয় শ্রমিক সংগঠন নেই। কর্মক্ষেত্রে বিশ্রামের কোনো পরিবেশ  নেই। ইভটিজিং মতো নানা ভাবে ইনসালমূলক কথা বলে থাকে। মায়ের শিশু দুধ খাওয়ার কোনোবিশেষ ব্যবস্থা নেই। শ্রম কাজের স্থায়িত্ব নেই।
এ সময় ধারনাপত্র উপর আলোচনা করেন সভায় সভায় ভূমিস্বত্ব এবং শ্রম ও মজুরী উপর প্রদর্শনীয় তথ্য উপস্থাপনা করেন ভলান্টিয়ার আখিনুর বেগম এবং জান্নাতুল বেগম।